এনসিপিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে তৎপর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার প্রফেসর মফিজুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা খাগকান্দা ইউনিয়নের প্রফেসর মফিজুল হক মফিজ স্হানীয় রাজনীতিতে এক আলোচিত নাম।
একাধিক সূত্রে জানা যায় মুড়াপাড়া কলেজের সাবেক একজন শিক্ষক হয়েও এমন কোনো রাজনৈতিক দল নেই তিনি করেননি। ১৯৯১ সালে বিএনপির এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের একজন আস্থাভাজন হিসেবে এলাকায় পরিচিতি ছিলেন প্রফেসর মফিজুল হক।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এমদাদুল হক ভূইয়ার সমর্থন করে সুবিধা আদায়ে চেষ্টা করেন বলে জনস্রোতী আছে মফিজুল ইসলামের। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও ঝুকে পড়েেন আতাউর রহমান আঙুর এর সমর্থক হিসেবে।
যখন যে দল আসে তাদের সাথেই মিলেমিশে চলার কৌশল বেছে নিতেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু নির্বাচিত হয়ে আসলে তার সাথেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে বেশি সময় নেননি প্রফেসর মফিজুল ইসলাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে বহু ছবি নিয়েও এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তার চাচা তোতা মিয়া নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান ও খাগকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ভাতিজা রুবেল ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা।
৫ আগস্টের পূর্বে সর্বশেষ কাজ হিসেবে বঙ্গবাজার হইতে তার নিজ গ্রাম পাচানী পর্যন্ত রাস্তার রিপাইরিং মোটা অংকের টাকার কাজ তারই ছত্রছায়ায় অন্য জনের নামে করেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়। যার আংশিক কাজ করে পত্র-পত্রিকার শিরোনাম হন। দল পাল্টানো এই বেপরোয়া নেতা এখন এনসিপিতে যোগ দিয়ে অপকর্ম ডাকতে চালাচ্ছেন নানা তৎপরতা।
তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আংশগ্রহনের দাবি করে তিনি বলেন -” আমিসহ আমার মেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহন করি।” তিনি আরো বলেন ” এনসিপির সদস্য হবার আগ্রহ করার পর থেকে আমাকে নিয়ে নানা মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ”
এদিকে এনসিপি তাদের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কমিটি দিতে চালাচ্ছেন বিভিন্ন কর্যক্রম। এনসিপির একটি সূত্র বলছে প্রফেসর মফিজুল ইসলাম আমাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে, তবে যাচাই-বাছাই না করে আমরা কাউকে সদস্য পদে রাখবোনা।